অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ আবারও কার্ড জালিয়াতি করে রাজধানীতে বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকালে ২৩ মিনিটের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের তিনটি বুথ থেকে জাল (ক্লোন) এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের বুথ থেকে কার্ড এবং ওই কার্ড দিয়ে তোলা টাকাসহ চীনা নাগরিক জু জিয়ানহুইকে (৩৮) আটক করেছে র্যা ব।
এদিকে ফার্মগেট ও পান্থপথের দুটি এটিএম বুথ থেকে ৫ লাখ ৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যাংকটির। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ক্লোন কার্ড দিয়ে বেসরকারি অপর তিনটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে এক জার্মান নাগরিকসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
র্যা ব-২ ও প্রাইম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, সকাল ৬টা ১৭ মিনিট থেকে ৬টা ৪০ মিনিটের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের তিনটি বুথে টাকা তোলার এ ঘটনা ঘটে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেসব কার্ডের ক্লোন করা হয়েছে, সেগুলো বিদেশি নাগরিকদের ও বিদেশি ব্যাংক থেকে ইস্যু করা আন্তর্জাতিক কার্ড। বিদেশেই ওই সব কার্ডের মালিকের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড বানানো হয়েছে। কার্ডগুলোতে আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুবিধা থাকায় তাঁরা বাংলাদেশে এসে সেগুলো ব্যবহার করে অর্থ তুলেছেন।
যোগাযোগ করা হলে র্যা ব-২-এর কর্মকর্তা মেজর আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এলিফ্যান্ট রোডে বাটা সিগন্যালের প্রাইম ব্যাংকের বুথটিতে সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে তিনটি জাল কার্ড নিয়ে ঢুকেছিলেন চীনা নাগরিক জু জিয়ানহুই। একটি কার্ড ছয়বার পাঞ্চ করে সেটি দিয়ে তিনি ৬৫ হাজার টাকা তোলেন। দ্বিতীয় কার্ডটি ঢোকানোর পরপরই সেটি টেনে নেয় এটিএম যন্ত্র। পরে তৃতীয় কার্ড ঢুকিয়ে তিনি চারবার ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্ক বসিয়ে টাকা তুলতে ব্যর্থ হন। পঞ্চমবার তিনি ১ হাজার টাকা তুলতে পারেন। অনেকক্ষণ ধরে জিয়ানহুই বুথের ভেতরে থাকায় সন্দেহ হয় এটিএম বুথটির নিরাপত্তাকর্মী মো. দুলালের। তিনি চীনা নাগরিকের ব্যবহৃত এটিএম কার্ড দেখতে চাইলে জিয়ানহুই কার্ড দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। এতে সন্দেহ বাড়লে দুলাল বাইরে থেকে বুথের কলাপসিবল ফটক আটকে দেন। এ সময় জিয়ানহুই তাঁর হাতে থাকা ৬৬ হাজার টাকা নিরাপত্তাকর্মীকে দেওয়ার লোভ দেখান। কিন্তু দুলাল তৎক্ষণাৎ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের জানান। পরে প্রাইম ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে জিয়ানহুইকে আটক করে র্যা বকে খবর দেন। র্যা ব গিয়ে তাঁকে জাল কার্ড-টাকাসহ আটক করে নিয়ে আসে।
মেজর আতাউর বলেন, চীনা নাগরিক যে হিসাব (অ্যাকাউন্ট) থেকে টাকাগুলো তুলেছেন, তা তাঁর নয়। তাঁর ব্যবহৃত কার্ডেও প্রাইম ব্যাংক বা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের নাম বা চিহ্ন নেই। জালিয়াতির জন্যই বিশেষভাবে এ কার্ডগুলো তিনি সংগ্রহ করেছেন। ধরা পড়ে গেছেন বুঝতে পেরে তিনি বুথের ভেতরে কার্ডগুলো লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর কাছে তাঁর নিজের নামে আসল একটি কার্ডও পাওয়া গেছে।
র্যা ব সূত্র বলেছে, পাসপোর্ট দেখে জানা গেছে গত ১৫ এপ্রিল ভ্রমণ ভিসায় জিয়ানহুই বাংলাদেশে আসেন।
এ বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কামাল খান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জিয়ানহুইর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বুথের নিরাপত্তাকর্মী তাঁকে আটকে রাখেন। ওই নিরাপত্তাকর্মীকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক। তিনি বলেন, যেসব কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে, সব কটিই বিদেশি নাগরিকদের ও বিদেশি ব্যাংক থেকে ইস্যু করা আন্তর্জাতিক কার্ড।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, প্রায় একই সময়ে একই প্রক্রিয়ায় ফার্মগেট ও পান্থপথের দুটি বুথ থেকে ৫ লাখ ৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফার্মগেট থেকে চারটি কার্ডে ১৩টি ট্রানজেকশনে ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ও পান্থপথ থেকে পাঁচটি কার্ডে ১৬ ট্রানজেকশনে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা তোলা হয়। তিনটি বুথেই লেনদেনগুলো হয়েছে সকাল ৬টা ১৭ মিনিট থেকে ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এই ২৩ মিনিটে। এসব লেনদেনের সময়ের ভিডিও ফুটেজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।
রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত।
এর আগে ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি ব্যাংক ইস্টার্ন, সিটি ও ইউসিবিএলের গুলশান, বনানী, পল্লবীর কালশীর চারটি বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ নামের যন্ত্র বসিয়ে গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং পরে ক্লোন কার্ড তৈরি করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ইস্টার্ন ব্যাংকের একাধিক গ্রাহক মুঠোফোনের খুদে বার্তার মাধ্যমে তাঁদের হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি জেনে ব্যাংকে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় বনানী থানায় দুটি ও পল্লবী থানায় করা একটি মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ডিবি কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি জার্মানির নাগরিক পিওতর সিজোফেন মুজারেক ও সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের তিন কর্মকর্তা মকসেদ আলম (মাকসুদ), রেজাউল করিম ও রেফাজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। পরে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির ও একটি ব্যাংকের কার্ড বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন।
এরপর মার্চে গুলশান ও উত্তরায় দুটি আবাসিক হোটেলে স্থাপিত সিটি ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) যন্ত্রে কারসাজি করে টাকা তোলার অভিযোগে গুলশান থানায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে উত্তরার হোটেল কমফোর্ট ইন-এর মালিক আবদুল হাসনাতের বিরুদ্ধে ১ মার্চ এবং ৮৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা তোলার অভিযোগে গুলশানের হোটেল সিলভার উইন্ডোর মালিক বিশ্বাস এ মালেক ও ব্যবস্থাপক শামীম হাসানের বিরুদ্ধে ২ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ দুটি মামলাও তদন্ত করছে ডিবি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পিওতর ও খান এয়ার ট্রাভেলসের কর্মচারী আবু জাফরের যোগসাজশে পিওএস যন্ত্রে কার্ড জালিয়াতি করে বিপুল টাকা তোলা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আবু জাফরও কারাগারে আছেন।
Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka) Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka) Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)
জাতীয়, লিড নিউজ | তারিখ : May, 19, 2016, 3:10 am | নিউজটি পড়া হয়েছে :
904 বার
অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ আবারও কার্ড জালিয়াতি করে রাজধানীতে বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকালে ২৩ মিনিটের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের তিনটি বুথ থেকে জাল (ক্লোন) এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের বুথ থেকে কার্ড এবং ওই কার্ড দিয়ে তোলা টাকাসহ চীনা নাগরিক জু জিয়ানহুইকে (৩৮) আটক করেছে র্যা ব।
এদিকে ফার্মগেট ও পান্থপথের দুটি এটিএম বুথ থেকে ৫ লাখ ৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যাংকটির। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ক্লোন কার্ড দিয়ে বেসরকারি অপর তিনটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে এক জার্মান নাগরিকসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
র্যা ব-২ ও প্রাইম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, সকাল ৬টা ১৭ মিনিট থেকে ৬টা ৪০ মিনিটের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের তিনটি বুথে টাকা তোলার এ ঘটনা ঘটে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেসব কার্ডের ক্লোন করা হয়েছে, সেগুলো বিদেশি নাগরিকদের ও বিদেশি ব্যাংক থেকে ইস্যু করা আন্তর্জাতিক কার্ড। বিদেশেই ওই সব কার্ডের মালিকের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড বানানো হয়েছে। কার্ডগুলোতে আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুবিধা থাকায় তাঁরা বাংলাদেশে এসে সেগুলো ব্যবহার করে অর্থ তুলেছেন।
যোগাযোগ করা হলে র্যা ব-২-এর কর্মকর্তা মেজর আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এলিফ্যান্ট রোডে বাটা সিগন্যালের প্রাইম ব্যাংকের বুথটিতে সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে তিনটি জাল কার্ড নিয়ে ঢুকেছিলেন চীনা নাগরিক জু জিয়ানহুই। একটি কার্ড ছয়বার পাঞ্চ করে সেটি দিয়ে তিনি ৬৫ হাজার টাকা তোলেন। দ্বিতীয় কার্ডটি ঢোকানোর পরপরই সেটি টেনে নেয় এটিএম যন্ত্র। পরে তৃতীয় কার্ড ঢুকিয়ে তিনি চারবার ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্ক বসিয়ে টাকা তুলতে ব্যর্থ হন। পঞ্চমবার তিনি ১ হাজার টাকা তুলতে পারেন। অনেকক্ষণ ধরে জিয়ানহুই বুথের ভেতরে থাকায় সন্দেহ হয় এটিএম বুথটির নিরাপত্তাকর্মী মো. দুলালের। তিনি চীনা নাগরিকের ব্যবহৃত এটিএম কার্ড দেখতে চাইলে জিয়ানহুই কার্ড দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। এতে সন্দেহ বাড়লে দুলাল বাইরে থেকে বুথের কলাপসিবল ফটক আটকে দেন। এ সময় জিয়ানহুই তাঁর হাতে থাকা ৬৬ হাজার টাকা নিরাপত্তাকর্মীকে দেওয়ার লোভ দেখান। কিন্তু দুলাল তৎক্ষণাৎ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের জানান। পরে প্রাইম ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে জিয়ানহুইকে আটক করে র্যা বকে খবর দেন। র্যা ব গিয়ে তাঁকে জাল কার্ড-টাকাসহ আটক করে নিয়ে আসে।
মেজর আতাউর বলেন, চীনা নাগরিক যে হিসাব (অ্যাকাউন্ট) থেকে টাকাগুলো তুলেছেন, তা তাঁর নয়। তাঁর ব্যবহৃত কার্ডেও প্রাইম ব্যাংক বা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের নাম বা চিহ্ন নেই। জালিয়াতির জন্যই বিশেষভাবে এ কার্ডগুলো তিনি সংগ্রহ করেছেন। ধরা পড়ে গেছেন বুঝতে পেরে তিনি বুথের ভেতরে কার্ডগুলো লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর কাছে তাঁর নিজের নামে আসল একটি কার্ডও পাওয়া গেছে।
র্যা ব সূত্র বলেছে, পাসপোর্ট দেখে জানা গেছে গত ১৫ এপ্রিল ভ্রমণ ভিসায় জিয়ানহুই বাংলাদেশে আসেন।
এ বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কামাল খান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জিয়ানহুইর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বুথের নিরাপত্তাকর্মী তাঁকে আটকে রাখেন। ওই নিরাপত্তাকর্মীকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক। তিনি বলেন, যেসব কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে, সব কটিই বিদেশি নাগরিকদের ও বিদেশি ব্যাংক থেকে ইস্যু করা আন্তর্জাতিক কার্ড।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, প্রায় একই সময়ে একই প্রক্রিয়ায় ফার্মগেট ও পান্থপথের দুটি বুথ থেকে ৫ লাখ ৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফার্মগেট থেকে চারটি কার্ডে ১৩টি ট্রানজেকশনে ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ও পান্থপথ থেকে পাঁচটি কার্ডে ১৬ ট্রানজেকশনে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা তোলা হয়। তিনটি বুথেই লেনদেনগুলো হয়েছে সকাল ৬টা ১৭ মিনিট থেকে ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এই ২৩ মিনিটে। এসব লেনদেনের সময়ের ভিডিও ফুটেজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।
রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত।
এর আগে ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি ব্যাংক ইস্টার্ন, সিটি ও ইউসিবিএলের গুলশান, বনানী, পল্লবীর কালশীর চারটি বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ নামের যন্ত্র বসিয়ে গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং পরে ক্লোন কার্ড তৈরি করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ইস্টার্ন ব্যাংকের একাধিক গ্রাহক মুঠোফোনের খুদে বার্তার মাধ্যমে তাঁদের হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি জেনে ব্যাংকে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় বনানী থানায় দুটি ও পল্লবী থানায় করা একটি মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ডিবি কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি জার্মানির নাগরিক পিওতর সিজোফেন মুজারেক ও সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের তিন কর্মকর্তা মকসেদ আলম (মাকসুদ), রেজাউল করিম ও রেফাজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। পরে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির ও একটি ব্যাংকের কার্ড বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন।
এরপর মার্চে গুলশান ও উত্তরায় দুটি আবাসিক হোটেলে স্থাপিত সিটি ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) যন্ত্রে কারসাজি করে টাকা তোলার অভিযোগে গুলশান থানায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে উত্তরার হোটেল কমফোর্ট ইন-এর মালিক আবদুল হাসনাতের বিরুদ্ধে ১ মার্চ এবং ৮৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা তোলার অভিযোগে গুলশানের হোটেল সিলভার উইন্ডোর মালিক বিশ্বাস এ মালেক ও ব্যবস্থাপক শামীম হাসানের বিরুদ্ধে ২ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ দুটি মামলাও তদন্ত করছে ডিবি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পিওতর ও খান এয়ার ট্রাভেলসের কর্মচারী আবু জাফরের যোগসাজশে পিওএস যন্ত্রে কার্ড জালিয়াতি করে বিপুল টাকা তোলা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আবু জাফরও কারাগারে আছেন।
Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka) Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka) Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)